করোনা ভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে দেশবাসীকে ঘরে থাকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়া৷
ঈদের দিন রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই বার্তা সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে উনি (খালেদা জিয়া) দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাত সাড়ে ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’র দোতলায় এই সাক্ষাত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই যে মহাসংকট করোনাভাইরাস মহামারি সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে মোকাবিলা করার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি ম্যাডাম আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশবাসীর প্রতিও তিনি আহ্বান জানিয়েছেন যে, বাড়িতে থাকুন, একটু কষ্ট করুন।
বাড়িতে থেকেই এই সংক্রামককে প্রতিরোধ করতে হবে৷
তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, জনগণ যেন ঘরে থাকে এবং এই মহামারিকে প্রতিরোধ করবার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যেসব বিধান দেয়া হয়েছে তা যেন তারা মেনে চলে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেই সঙ্গে তিনি সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন যে, এত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেছেন, এখন সাহস না হারিয়ে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, এই চরম একটা সংকটের সময়ে যখন আপনার সামাজিক দূরত্বকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যেও উনি (খালেদা জিয়া) আমাদেরকে সময় দিয়েছিলেন। আমরা পুরোপুরি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে, আমাদের নেত্রীকে নিরাপদ রাখার জন্য আমরা লক্ষ্য করেছেন যে, আমরা সবাই স্পেশাল পিপিই পড়ে, হাতে গ্লাবস নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেছি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শারীরিক অবস্থা আমি আগেও বলেছি উনার কোনো ইম্প্রুভমেন্ট হয়নি। ইম্প্রুভমেন্ট মধ্যে যেটুকু হয়েছে উনি আগে থেকে মানসিক অবস্থাটা তার অনেক ভালো হয়েছে, শারীরিক অবস্থার তার খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি।’
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দলীয় প্রধানের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
0 Comments