রাজধানীতে সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন।
জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং পুলিশের গুলিতে দলের তিন কর্মী নিহতের প্রতিবাদে বিএনপির পূর্বঘোষিত মোমবাতি প্রজ্বলন ও মৌন অবস্থান কর্মসূচি ছিল। শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
বিএনপির মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি চলাকালে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেন। রাত পৌনে আটটার দিকে কর্মসূচির প্রধান অতিথি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য শেষ করার পরপরই ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রথমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে একযোগে হামলা করলে সবাই বনানী কে ব্লকের ২৬ নম্বর রোড দিয়ে সরে যান। এ সময় ইটপাটকেল ও লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হন। কর্মসূচিতে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানকে কয়েকজন ধরাধরি করে রাস্তা পার করেন। এ সময় সেলিমা রহমানসহ দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আহত হন। হামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়ালকে রক্তাক্ত অবস্থায় ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বনানীর হামলায় আহত তাবিথ আউয়াল
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমাদের কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই রাস্তার অপর পাশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মিছিল করছিল। কিন্তু যখন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য প্রায় শেষ পর্যায়ে, তখন অপর পাশ থেকে এসে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় তারা।
তিনি বলেন, এ হামলায় বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নারী কর্মীরাও আহত হয়েছেন। গত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল গুরুতর আহত। বিস্তারিত পরে পরে বলা যাবে। এভাবে কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা হতে পারে মাথাতেই আসে না।
0 Comments